Thursday, 8 May 2025
  • Home  
  • কানাডায় খালিস্তান আন্দোলন: জাগমিত সিং-এর বিপজ্জনক খেলা
- Bangla Article

কানাডায় খালিস্তান আন্দোলন: জাগমিত সিং-এর বিপজ্জনক খেলা

কানাডা বলতে আপনি সম্ভবত ভাবেন ম্যাপল সিরাপ, ভদ্র প্রতিবেশী, আর জমে যাওয়া হকি রিঙ্ক—না যে এটা কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচারণা আর সন্ত্রাসবাদে সহানুভূতির প্রজননভূমি। কিন্তু ফ্ল্যানেল শার্টের নিচে লুকিয়ে আছে আরও ঠান্ডা এক সত্য: কানাডা বহুদিন ধরেই বিপথগামী, পলাতক এবং মতাদর্শগত অপরাধীদের জন্য এক নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আর না, এটা কোনো সাম্প্রতিক সমস্যা নয়। এর শিকড় অনেক […]

Khalistan Movement in Canada - Featured

কানাডা বলতে আপনি সম্ভবত ভাবেন ম্যাপল সিরাপ, ভদ্র প্রতিবেশী, আর জমে যাওয়া হকি রিঙ্ক—না যে এটা কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচারণা আর সন্ত্রাসবাদে সহানুভূতির প্রজননভূমি। কিন্তু ফ্ল্যানেল শার্টের নিচে লুকিয়ে আছে আরও ঠান্ডা এক সত্য: কানাডা বহুদিন ধরেই বিপথগামী, পলাতক এবং মতাদর্শগত অপরাধীদের জন্য এক নিরাপদ আশ্রয়স্থল।

আর না, এটা কোনো সাম্প্রতিক সমস্যা নয়। এর শিকড় অনেক গভীরে—জাগমিত সিংয়ের ইনস্টাগ্রাম ক্যাপশন বা জাস্টিন ট্রুডোর চকচকে ছবি থেকে অনেক আগে। কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের ইতিহাস জড়িয়ে আছে ভূরাজনীতি, নৈতিক অবক্ষয়, ভোটব্যাংক রাজনীতি, এবং কানাডার এক চিরন্তন ঐতিহ্যের সাথে—“স্বাধীনতা” আর “বহুসংস্কৃতিবাদ”-এর নামে সন্দেহজনক চরিত্রদের আশ্রয় দেওয়া।

চলুন এবার এই “ভদ্র”ভাবে মোড়ানো বিশৃঙ্খলাটিকে খুলে দেখি।

অপরাধী, ম্যাপল পাতায় ঢাকা, আর ১৭৭০-এর দশক

কানাডা অপরাধীদের জন্য অতিথিপরায়ণ—এটা নতুন কিছু নয়। আমেরিকার স্বাধীনতার পর, অনেক অপরাধী যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় চলে যায়। তখন কানাডা তাদের ফেরত পাঠানো তো দূরের কথা, বরং লাল গালিচা বিছিয়ে নাগরিকত্ব দিয়ে স্বাগত জানায়। কেন? কারণ তখন কানাডা তার জাতীয় পরিচয় গঠনের প্রক্রিয়ায় ছিল—নৈতিকভাবে নমনীয় কিছু মানুষই যেন ছিল সেরা উপাদান!

এই ইতিহাস শুধু মজার তথ্য না—এটাই কানাডার পরবর্তী অভিবাসন নীতির ভিত্তি গড়ে দেয়, বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে জটিল পটভূমি থাকা গোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে।

সৈনিক থেকে অভিবাসী: শিখ অভিবাসনের ঢেউ

২০শ শতকের শুরুতে অনেক ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর শিখ সদস্য কানাডায় পাড়ি জমান। ১৯৩০-এর দশকের মধ্যে তারা খামার স্থাপন করে ধীরে ধীরে সমাজে মিশে যান। ১৯৭০-এর দশকে এসে দক্ষিণ অন্টারিওতে শিখ জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। এখানে সমস্যা ছিল না—যতক্ষণ না ভূরাজনীতি প্রবেশ করে।

ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে এবং কানাডার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করে। এমনকি কানাডা তার ইউরেনিয়াম ভাণ্ডার ব্যবহার করে ৫০-এর দশকে ভারতের পারমাণবিক প্রযুক্তিতে সহায়তা করেছিল।

তারপর আসে ১৯৭৪। প্রবেশ করেন পিয়ের ট্রুডো। বের হয়ে যায় যুক্তিবোধ।

পতন: ট্রুডো সিনিয়র, পারমাণবিক অপমান খালিস্তান

১৯৭৪ সালে ভারত যখন “স্মাইলিং বুদ্ধ” নামে তার প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা চালায়, পিয়ের ট্রুডো ব্যাপারটিকে ব্যক্তিগত অপমান হিসেবে নেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে চলে যায়। তখন তিনি খালিস্তান ইস্যুকে কাজে লাগাতে শুরু করেন—যে একটি সমস্যা কূটনৈতিক দক্ষতা দাবি করেছিল, সেখানে তিনি অরাজকতা উসকে দেন।

এদিকে, পাঞ্জাবে কংগ্রেস দল সবুজ বিপ্লবের পর অকালি দলের গুরুত্ব কমিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু আর্থিক উন্নতি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শূন্যতা ঢাকতে পারেনি। এই ছিল সেই জমি যেখানে জারনেইল সিং ভিনদ্রনওয়ালে তার চরমপন্থী ভাবধারা রোপণ করেন।\

ভিনদ্রনওয়ালে, অপারেশন ব্লুস্টার কানাডার উষ্ণ অভ্যর্থনা

১৯৭০-এর শেষ দিকে, ভিনদ্রনওয়ালে বিচ্ছিন্নতাবাদী আগুন জ্বালাতে থাকেন, পাঞ্জাবের বৈষম্য ও হতাশাকে কাজে লাগিয়ে। অবস্থা চরমে পৌঁছায় ১৯৮৪ সালের অপারেশন ব্লুস্টার-এ—যেখানে ভারতের সেনাবাহিনী সোনার মন্দিরে সশস্ত্র চরমপন্থীদের অপসারণ করে।

এরপর আসে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা এবং ১৯৮৪ সালের দাঙ্গা—হাজার হাজার শিখ ভারতে সহিংসতার শিকার হন এবং পলায়ন শুরু করেন। অনেকেই পাড়ি জমান—ঠিক ধরেছেন—কানাডায়।

কানাডা তাদের যথাযথভাবে যাচাই না করেই ঢুকতে দেয়। ব্যাকগ্রাউন্ড চেক? প্রায় না। উদ্দেশ্য যাচাই? শূন্য। ফলাফল? একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী তৈরি হয়—যা ঐক্য নয়, বরং আক্রোশ, প্রতিশোধ ও চরমপন্থায় বিশ্বাসী।

ট্রান্সন্যাশনাল শিখ সংগঠনের উত্থান

যথেষ্ট শিখ জনসংখ্যা গড়ে ওঠার পর, রাজনীতি ছিল স্বাভাবিক পরিণতি। ১৯৯০ ও ২০০০-এর দশকে তৈরি হয় World Sikh Organization, Canada Sikh Organization ও পরে Sikhs for Justice (SFJ)। এদের উদ্দেশ্য শুধু শিখদের অধিকার রক্ষা নয়, বরং ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ এবং খালিস্তানের প্রচার।

বিশেষ করে SFJ হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচারণার প্রধান বাহক। যখন ভারত চরমপন্থা থেকে পুনরুদ্ধার করে পাঞ্জাবের অর্থনীতি গড়ে তুলছে, তখন কানাডা খালিস্তান গণভোট আয়োজন করছিল—রাজনৈতিক ভাষণ, প্রোপাগান্ডা ফ্লোট, ও বিদেশি অর্থায়নসহ।

প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নাকি বিভ্রান্তি রপ্তানির স্বাধীনতা?

মাদক, গ্যাং নতুন অভিবাসন

১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে পাঞ্জাবে কিছুটা শান্তি এলেও নতুন সমস্যা দেখা দিল—মাদক সঙ্কট। পাকিস্তান থেকে সীমান্তপথে মাদক চোরাচালানের ফলে পাঞ্জাব তলিয়ে যেতে থাকে। চাকরির অভাবে মানুষ আবার কানাডার দিকে তাকায়।

কিন্তু এবার বৈধভাবে কানাডায় প্রবেশ কঠিন। ফলে Arsh Dalla গ্যাং-এর মতো গোষ্ঠী তরুণদের চোরাপথে কানাডায় পাঠাতে শুরু করে, তৈরি হয় নতুন অপরাধজগৎ। আর এর নেপথ্যে? পাকিস্তানের ISI।

ISI-এর সহজ কৌশল: কানাডার মাটি ব্যবহার করে ভারতকে অস্থিতিশীল করা। চরমপন্থায় দীক্ষিত তরুণ + মাদকাসক্তি + হতাশা = বিচ্ছিন্নতাবাদের পারফেক্ট রেসিপি।

৩এম: সঙ্গীত, হত্যাকাণ্ড মাইক্রোফোন

২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ইউটিউবে হঠাৎ করে আগ্রাসী, অশ্লীল পাঞ্জাবি গানের জোয়ার নামে। গানগুলো বন্দুক, গ্যাং ও মাদকের গৌরবগাথা গায়। অনেক শিল্পীর সঙ্গে ছিল কানাডার মিউজিক লেবেল ও শিল্পী সংগঠনের সরাসরি সম্পর্ক।

এটা কাকতালীয়? মোটেও না। এটি ছিল একটি সাংস্কৃতিক আক্রমণ। কানাডা ও ISI সঙ্গীতকে অস্ত্র করে তুলেছিল—গানকে বানিয়েছিল উগ্রবাদের বার্তা।

এটা আর্ট নয়—এটা ছিল অ্যালগরিদমিক চরমপন্থা।

Khalistan Movement in Canada - Jagmeet Singh
Khalistan Movement in Canada – Jagmeet Singh

জাগমিত সিং: আইনজীবী থেকে চরমপন্থার মূর্ত প্রতীক

পাল্টা জাগমিত সিং登场—কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (NDP) পাগড়ি পরা নেতা। পেশায় আইনজীবী, রাজনীতিতে野心ী, সিং দ্রুতই বুঝে যান শিখ ভোটের শক্তি।

আর বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে দূরত্ব বজায় না রেখে, তিনি আরও জড়িয়ে পড়েন।

তিনি অপারেশন ব্লুস্টারের জন্য ইন্দিরা গান্ধীকেই দোষারোপ করেন। ভিনদ্রনওয়ালেকে সন্ত্রাসী বলতেও অস্বীকৃতি জানান। এবং বিপজ্জনকভাবে, চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে রাজনৈতিক বৈধতা দেন।

যখন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি খালিস্তানের সঙ্গে ভোটব্যাংক রাজনীতি খেলছিল, সিং সরাসরি চরমপন্থার সঙ্গে “স্বাইপ রাইট” করেছিলেন।

ভারতের জবাব—আর কানাডার শিশুসুলভ প্রতিক্রিয়া

যখন এসব গোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে ওঠে, ভারত রুখে দাঁড়ায়। অর্থায়নের চক্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রোপাগান্ডা ফাঁস করে।

কিন্তু সহযোগিতার বদলে কানাডা রাগে গর্জে ওঠে। ট্রুডো ভারতের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করার অভিযোগ তোলেন। সিং নালিশ করেন। আর কানাডা… সার্বভৌমত্বের কথা বলে কাঁদে।

এদিকে সাধারণ কানাডাবাসী প্রশ্ন তোলে: কে চালায় কানাডা—প্রধানমন্ত্রী নাকি পাকিস্তানের আইএসআই?

ট্রুডোর ভেঙে পড়া & জাগমিতের অশ্রু

ব্যাকল্যাশ ছিল শুধু আন্তর্জাতিক নয়—অভ্যন্তরীণও। কানাডিয়ানরা খুশি ছিল না ট্রুডোর “আমরা আমেরিকার ৫১তম রাজ্য” মন্তব্য কিংবা খালিস্তানি তোষণের মাধ্যমে আসল সমস্যাগুলো উপেক্ষা করায়।

জাগমিত সিং, যিনি একসময় “রাইজিং স্টার” ছিলেন, জনপ্রিয়তা হারান। নির্বাচনে পরাজয়ের পর লাইভ টিভিতে কাঁদেন।

তবে ক্ষতি যা হওয়ার, তা হয়েই গেছে।

কানাডার উত্তরাধিকার: অপরাধীদের আশ্রয় থেকে উগ্রবাদের খেলাঘর?

তাহলে, কানাডা কি খালিস্তানকে সমর্থন করবে? ইতিহাস যদি কিছু বলে—তবে হ্যাঁ। ১৭৭০-এর দশকে মার্কিন অপরাধীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে ২০২০-এর মাদক পাচারকারীদের উপেক্ষা—কানাডা তার “উদারবাদী মুকুট” আন্তর্জাতিক দায়িত্বের ওপরেই রেখেছে।

ভারতের জন্য শিক্ষাটা পরিষ্কার: কানাডায় খালিস্তান আন্দোলন শিখ অধিকারের কথা নয়—এটা রাজনৈতিক সুবিধাবাদ, বিদেশি প্রভাব ও ইতিহাসভিত্তিক আক্রোশের মিশ্রণ।

কানাডা কি এখনও খালিস্তানকে সমর্থন করবে?

এটাই সেই “মিলিয়ন রুপি প্রশ্ন”। কিন্তু ইতিহাস কখনো মিথ্যে বলে না।

  • ১৭৭০-এর দশক: আমেরিকান অপরাধীদের শরণ দেয়
  • ১৯৮০-এর দশক: যাচাই না-করা রাজনৈতিক শরণার্থীদের গ্রহণ করে
  • ১৯৯০-এর দশক: বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে বাড়তে দেয়
  • ২০০০-এর দশক: গ্যাং কালচারের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়
  • ২০১০-এর দশক: পাঞ্জাবি পপ সংস্কৃতিকে অস্ত্র বানায়
  • ২০২০-এর দশক: খালিস্তানি গণভোটকে সানডে ব্রাঞ্চের মতো হোস্ট করে

তাহলে, কানাডা কি খালিস্তানকে সমর্থন করবে?
দুঃখজনকভাবে, ইতিমধ্যেই করেছে — নীরবে, সক্রিয়ভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে।

ভারতের কী শেখা উচিত (এবং কী করা উচিত)

ভারত কানাডার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, কিন্তু এটি কিছু কাজ করতে পারে:

  • বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর অবৈধ অর্থায়নের ওপর কঠোরতা
  • অনলাইনে উগ্রবাদী কনটেন্ট উৎস থেকে বন্ধ করা
  • মধ্যপন্থী কানাডিয়ান কণ্ঠগুলোর সাথে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলা
  • ISI-খালিস্তান-কানাডা সংযোগের প্রকাশ চালিয়ে যাওয়া
  • পাঞ্জাবি যুবকদের জন্য উন্নত সুযোগ সৃষ্টি করা যাতে তারা বিদেশমুখী না হয়

কানাডা বিশৃঙ্খলা বেছে নিতে পারে।
কিন্তু ভারত দৃঢ়তা বেছে নিতে পারে।

শেষ কথা: খালিস্তান মৃত। বেঁচে থাকুক সাধারণ বুদ্ধি।

কানাডায় খালিস্তান আন্দোলন সিংহদের অধিকারের চেয়ে রাজনৈতিক নাটকের বেশি কিছু নয়
এটি ভিক্টিমহুড, বিদেশি হস্তক্ষেপ ও স্থানীয় ভোটব্যাংক রাজনীতির এক বিকৃত মিশ্রণ

অধিকাংশ ভারতীয় সিখ খালিস্তান চান না
তারা চান চাকরি, শান্তি ও উন্নতি
আজও যারা খালিস্তান স্বপ্ন বিক্রি করে, তারা হল জগমীত সিংহের মতো রাজনীতিবিদ এবং বিভেদের মুনাফাভোগী পুতুলনাট্যকাররা

তাই, যখন ট্রুডো বা জগমীত “স্বাধীনতা” বলে কাঁদবেন, তখন জিজ্ঞেস করুন:

কিসের স্বাধীনতা? বিচ্ছিন্নতাবাদের? সন্ত্রাসবাদের? নাকি টিকটক রাজনীতির?

আরও পড়ুন:

কানাডার গোয়েন্দা সংস্থা CSIS-ও স্বীকার করেছে যে, পাকিস্তান-সমর্থিত উগ্রপন্থা সহ বিদেশি হস্তক্ষেপ কানাডার নিরাপত্তা ও রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে।

Leave a comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

About Us

India Insight Hub is your trusted source for insightful analysis on India’s rise, covering geopolitics, AI, technology, history, and culture. We bring bold perspectives on India’s influence in the modern world.

📌 Discover more: 👉 About Us

Email Us: [email protected]

Contact: +91 – 73888 12068

ArtiTude @2025. All Rights Reserved.